ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট, রাজশাহী: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অবৈধ সেচ মটরের পরিত্যক্ত বোরিংয়ের ৮ ইঞ্চি ব্যাসের সরু গর্তে পড়ে যাওয়ার ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো দুই বছরের শিশু সাজিদ হোসেন। তবে প্রাণ ফিরে পেল না শিশুটি। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে প্রায় ৪৫ ফুট গভীর সেই গর্ত থেকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত সাড়ে ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ব্যবহৃত নয় এমন বোরিংটির ভেতরের গর্তটি ছিল অত্যন্ত সরুÑব্যাস প্রায় ৮ ইঞ্চি এবং গভীরতা ৫০ ফুটের মতো। গর্তটি পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত থাকায় শিশুটি পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা রাতভর উদ্ধার অভিযান চালান। গর্তের সরুতা ও গভীরতার কারণে অভিযান ছিল অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। শেষে পাশ থেকে স্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করে শিশুটিকে বের করা সম্ভব হয়।
তানোর থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা টানা ৩২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েছি। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তাকে বাঁচানো গেল না।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিদারুল আলম বলেন, গর্তটি খুবই সরু ছিল। তাই বিকল্প উপায়ে মাটি কেটে নিচে নামতে হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শিশু সাজিদের মৃত্যুতে পরিবার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উদ্ধার সংবাদে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেলেও সন্তানের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, সবাই চেষ্টা করেছে, কিন্তু আল্লাহ আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিলেন না।
ঘটনার পর রাজশাহীর ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি), আঞ্চলিক ফায়ার সার্ভিস পরিচালক, তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে পরিত্যক্ত বোরিং ও গর্তগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তদারকি জোরদার করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে প্রায় ৪৫ ফুট গভীর সেই গর্ত থেকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত সাড়ে ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ব্যবহৃত নয় এমন বোরিংটির ভেতরের গর্তটি ছিল অত্যন্ত সরুÑব্যাস প্রায় ৮ ইঞ্চি এবং গভীরতা ৫০ ফুটের মতো। গর্তটি পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত থাকায় শিশুটি পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা রাতভর উদ্ধার অভিযান চালান। গর্তের সরুতা ও গভীরতার কারণে অভিযান ছিল অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। শেষে পাশ থেকে স্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করে শিশুটিকে বের করা সম্ভব হয়।
তানোর থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে আমরা টানা ৩২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েছি। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও তাকে বাঁচানো গেল না।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দিদারুল আলম বলেন, গর্তটি খুবই সরু ছিল। তাই বিকল্প উপায়ে মাটি কেটে নিচে নামতে হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শিশু সাজিদের মৃত্যুতে পরিবার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উদ্ধার সংবাদে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেলেও সন্তানের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, সবাই চেষ্টা করেছে, কিন্তু আল্লাহ আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিলেন না।
ঘটনার পর রাজশাহীর ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি), আঞ্চলিক ফায়ার সার্ভিস পরিচালক, তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে পরিত্যক্ত বোরিং ও গর্তগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তদারকি জোরদার করা হবে।
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট